ঢাকা,রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় প্যারাবন উজাড় করে লবণ মাঠ তৈরি !

পেকুয়া  প্রতিনিধি ::

কক্সবাজারের পেকুয়ায় প্যাবারন উজাড় করে লবণ উৎপাদনের জন্য মাঠ তৈরি করছে একটি প্রভাবশালী মহল। ম্যানগ্রোভ প্রজাতির সহ¯্রাধিক গাছ কেটে লবণ মাঠ তৈরির এ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলেও এব্যাপারে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, উপজেলার বঙ্গোপসাগর উপকূলীয় ইউনিয়ন উজানটিয়া পশ্চিম পাশে বেড়িবাঁধের বাইরে বহুবছর ধরে প্রাকৃতিক সুরক্ষা বলয় হিসেবে গড়ে উঠেছিল এসব প্যারাবন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা সহ বিভিন্ন ভাবে বংশপরম্পরায় এর উপযোগিতা ভোগ করে আসছিল এ জনপদের লক্ষাধিক মানুষ। কিন্তু সম্প্রতি প্যারাবন সমৃদ্ধ এ চরের উপর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্রের। তারা এসব প্যারাবন উজাড় করে লবণ উৎপাদনের জন্য মাঠ তৈরি করছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, উজানটিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা তোফাজ্জল করিম, গিয়াস উদ্দীন, মদন গাজী ও মগনামা ইউনিয়নের কাজী মোশারফ গত এক সপ্তাহ ধরে এস্কেলেটরের মাধ্যমে মাটি কেটে এসব প্যারাবন ধ্বংস করে লবণ মাঠ তৈরী করছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে প্যারাবন উজাড় কাজ অব্যাহত থাকলেও কেউ টুঁ শব্দ করছে না।

সেভ দ্যা ন্যাচার পেকুয়া উপজেলা শাখার সভাপতি মাসউদ বিন জলিল বলেন, উপকূলীয় বনবিভাগ পেকুয়া উপজেলার শাখার দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের অবহেলায় মূল্যবান এ প্যারাবন উজাড় হয়ে পড়ছে। কিন্তু এমন একটি ম্যানগ্রোভ বন তৈরি করতে বহুবছর সময়ের প্রয়োজন। তাই এসব প্যারাবন রক্ষায় অনতিবিলম্বে উদ্যোগ নেয়া জরুরি।

উজানটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ছিদ্দিক আহমদ বলেন, প্যারাবন উজাড়ের বিষয়টি আমি শুনেছি। বিষয়টি আমি যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানাবো।

উজানটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বলেন, চরের জমি গুলো পানি উন্নয়ন বোর্ড হতে বন্দোবস্ত (লীজ) নিয়ে স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি ঘের তৈরী করছে বলে আমি শুনেছি। প্যারাবন উজাড় হচ্ছে কিনা তা খরব নিয়ে আমি যথাযথ ব্যবস্থা নিবো।

উপকূলীয় বনবিভাগের মগনামা বিট কর্মকর্তা নিজাম উদ্দীন বলেন, প্যারাবন উজাড়ের অধিকার কারও নেই। আমি সরেজমিন গিয়ে সর্বশেষ পরিস্থিতি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।

জানতে চাইলে প্যারাবন উজাড়ের বিষয় অস্বীকার করে আওয়ামী লীগ নেতা তোফাজ্জল করিম বলেন, বিষয়টি আমি জানি না। আর পশ্চিম উজানটিয়ায় আমার মালিকানাধীন কোন জমি নেই।

পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুবউল করিম বলেন, বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিবো।

পাঠকের মতামত: